প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০১৭ ১:৩৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৩৮ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
৩২ ঘণ্টা পর দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার (৩০) লাশ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় দহগ্রাম উপজেলার আবুলের চরের ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার ভাটি থেকে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) তার লাশ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার ভাটি থেকে বিএসএফ সদস্যরা সুমন মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে। তিনবিঘা করিডোরে অথবা দহগ্রামে সুমন মিয়ার লাশ গ্রহণ করা হতে পারে। বিজিবির রংপুর রিজিওন্যাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ ও রংপুর সেক্টর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদসহ আমরা ঘটনস্থালের দিকে রওয়ানা দিয়েছি। পরে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি জানানো হবে।’

এর আগে, গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিওপির চার জনের একটি টহল টিম মুন্সিপাড়া সীমান্ত এলাকায় তিস্তার ধারে যায়। ভারতীয় গরু পাচার হয়ে আসার সময় নদীতে পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া নিখোঁজ হন। পরে তাকে খুঁজতে ভারতের বিএসএফের সহযোগিতা চাওয়া হয়।

এরপর বিজিবির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে বিএসএফ। মঙ্গলবার সকালে বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা সুমন মিয়াকে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ বলেন, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য। কিন্তু তিনি ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত আছেন।

পাঠকের মতামত

২ বাংলাদেশিকে গুলি করে মারল বিএসএফ, মরদেহ নিয়ে গেল ভারতীয় পুলিশ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় খয়খাটপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পরে তাদের ...